শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ফজলুর রহমান বলেছেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদন্ড ও শিক্ষকরা হলেন এই মেরুদন্ড গড়ার কারিগর। শিক্ষকদের বলা হয় জ্ঞানের ফেরিওয়ালা। ত্যাগ ও নিষ্ঠার মাধ্যমে মানুষকে ভালোবেসে অকৃপণভাবে মেধা ও পরিশ্রমকে কাজে লাগিয়ে সোনার বাংলা গড়ে তুলতে পারে শিক্ষক।
তিনি আরও বলেন, শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভবিষ্যৎ গড়তে অগ্রণী ভূমিক রাখছেন।
আজকে যারা বিদায় নিচ্ছেন তারা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুনাম তাদের শিক্ষাকতার মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়েছেন। শিক্ষার্থীরা এই প্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষা অর্জন করে আজ সুনামের সাথে দেশ ও বিদেশে বিশেষ অবদান রাখছেন।
তিনি বলেন, শিক্ষকতা হচ্ছে পৃথিবীর প্রাচীন পেশাগুলোর একটি। ন্যায়-বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে গেলে শিক্ষকদের ভূমিকা অনন্য। সমাজের ভালো কাজ করার জন্য শিক্ষকদের প্রয়োজন। জাতির ভবিষ্যৎ শিক্ষার্থীকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে আর সেটা করবে একজন শিক্ষক। সমাজে বিশৃঙ্খল পরিবেশ ও অরাজক পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেটা রোধ করাও শিক্ষকদের দায়িত্ব। কেননা শিক্ষকরাই শিক্ষার্থীদের ন্যায়-অন্যায়, সৎপথ, সঠিকপথের নিদের্শনা প্রদান করে থাকেন। সত্য-অসত্য, দেশের স্বার্থ এবং দেশের উন্নয়নের করণীয় সব বিষয়গুলো তাদের কাছে পৌঁছে দেবে একজন দায়িত্ববান শিক্ষক।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) সকাল ১২টায় শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের হলরুমে সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল জলিল ও শহিদুল ইসলাম খান এর বিদায় উপলক্ষে আয়োজিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।
শাহজালাল জামেয়া ইসলামিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ গোলাম রব্বানী এর সভাপতিত্বে ও প্রভাষক মুহিবুর রহমান শামীমের পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জালালাবাদ টিচার্স ট্রেইনিং কলেজের অধ্যক্ষ জামেয়ার সাবেক শিক্কক ড. হাসমত উল্লাহ। সংবর্ধিত অতিথির বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক মাওলানা আব্দুল জলিল ও শহিদুল ইসলাম খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সহকারী অধ্যাপক জাফর ইকবাল মাহমুদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সিনিয়র শিক্ষক ও গভর্নিং বডির সদস্য মুহাম্মদ মুহিব আলী।
শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোস্তফা কামাল, সহকারী অধ্যাপক ও কলেজ ইনচার্জ রফিকুল ইসলাম মজুমদার, সাবেক শিক্ষক ও স্কুল ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ, সাবেক শিক্ষক এনামুল হক, সাবেক শিক্ষক এখলাসুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত করেন ক্বারী আবুল হাসনাত বেলাল। মানপত্র পাঠ করেন মাওলানা মাসহুদ আহমদ খান।
অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে বিদায়ী শিক্ষকদের হাতে উপহার তুলে দেন শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।