প্রধান উপদেষ্টার শুভেচছা বাণী :: বিশ্বের অন্যান্য দেশের মত বাংলাদেশেও ১৭ মে World Talecom and Information society Day পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত।
টেলিযোগাযোগ সেবা ও তথ্য প্রযুক্তি ব্যাবহারসহ ডিজিটাল রুপান্তরে নারী-পুরুষের সমান অংশগ্রহণে একটি বৈষম্যমুক্ত, আধুনিক সমাজ বিনির্মাণের পূর্বশর্ত। জুলাই অভ্যুথানের চেতনাকে ধারণ করে অন্তবর্তীকালীন সরকার ডিজিটাল রূপান্তরে সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমান সুজোগ ও অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এ প্রেক্ষিতে দিবসটি এবারের প্রতিপাদ্য ‘Gender Equity in Digital Tensfarmation’ তথা ডিজিটাল রূপান্তরে নারী- পুরুষের সমতায়ন’, তাৎপর্যপূর্ণ হয়েছে বলে আমি মনে করি।
অন্তবর্তীকালীন সরকার দেশের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের উন্নয়নে খুবই আন্তরিক। তথ্য প্রযুক্তি খাতের সকল কর্মকন্ডে স্বছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করা হয়েছে। জনগণের সরকারি সেবা প্রাপ্তি সহজতর করাতে ও হয়রানি কমাতে ডিজিটল সেবা কেন্দ্র ‘নাগরিক সেবা ‘ তৈরির উদ্বেগ নেয়া হয়েছে। সারাদেশে ইউনিয়ন নাগরিক সেবাকেন্দ্রের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য প্রযুক্তি সেবা চালু করা হয়েছে। নারী উদ্যক্তাদের জন্য বিশেষ ফিলেন্সিং ট্রেনিং এবং মেয়ে শিক্ষার্থীদের জন্য (She-STEM) ট্রেনিংয়ের উদ্বেগ নেয়া হয়েছে। বাংলাদেশে স্যাটেলাইট ভিত্তিক উচ্ছগতির ইন্টারনেট নেটওয়ার্কযুক্ত হতে যাচ্ছে যা প্রত্যন্ত ও দূর্গম অঞ্চল সহ সারা দেশে নিরবিচ্ছিন্ন ইন্টারনেট সেবা নিশ্তিতের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক।
আমি জনগণের জন্য বিশ্বমানের টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করতে সকলকে একসাথে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমার দৃঢ় বিশ্বাস সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় একটি অন্তভূক্তিমূলক প্রগতিশীল ও সমতা ভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে উঠবে। নিশ্চিত হবে ডিজিটাল সমতা।
আমি দিবসটি উদযাপন উপলক্ষে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করছি।
প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস